দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর পর আগামী ১০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গাইবান্ধা জেলার নবগঠিত পলাশবাড়ী পৌরসভা প্রথম নির্বাচন। এ উপলক্ষে রাস্তা-ঘাট ও অলিগলি থেকে রাজপথ এখন ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের পোস্টারে পোস্টারে। নির্বাচনী বিধিতে দেয়ালে পোস্টার সাঁটা নিষিদ্ধ। তাই বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ভোটের পোস্টার উঠে গেছে ঊর্ধ্বলোকে। সুতলির সঙ্গে এসব পোস্টার লাগিয়ে পথের ওপর ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ঝালরের মতো করে। মাঝে মাঝে দমকা হাওয়ার ঝাপটায় উড়ছে সেগুলো। চলছে মাইকে প্রচার। রিক্সা ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় করে প্রার্থীদের কর্মীরা ভোট ও দোয়া চেয়ে ঘুরছেন পৌরসভার পাড়া-মহল্লায়। কোনো কোনো প্রার্থীর জন্য ভোট চেয়ে গানও তৈরি করা হয়েছে। সেই গান বাজছে মাইকে। পরিবেশ বেশ সরগরম। বসে নেই প্রার্থীরা। পথে নেমেছেন তাঁরা। গণসংযোগ, পথসভা, মতবিনিময়, মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মতৎপরতায় পাড় করছেন মেয়র প্রার্থীরা। মেয়র পদপ্রার্থীদের মতো কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরাও নেমে পড়েছেন নির্বাচনী প্রচারাভিযানে। সমর্থকদের নিয়ে ছোট ছোট দলে তাঁরা ভোটারের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। ভোটারদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময়ের পর সবিনয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। ভোটারের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছেন নিজের ছবি ও নির্বাচনী প্রতীক সংবলিত লিফলেট। নির্বাচনী বিধিমালা অনুসারে প্রার্থীদের রঙিন পোস্টার বা লিফলেট ছাপানো নিষিদ্ধ। পোস্টার-লিফলেটও ছাপতে হচ্ছে নির্ধারিত মাপ অনুসারে। এর ফলে রং-বেরুঙের পোস্টার দেখা যাচ্ছে না বটে, তবে প্রচারাভিযানে হাঁকডাক, জাঁকজমকের কমতি নেই। দিন যত যাচ্ছে প্রচারাভিযান জমে উঠছে আরও।
এ নির্বাচনে ৬ প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, আবু বকর প্রধান (নৌকা), আবুল কালাম আজাদ (ধানেরশীষ), আওয়ামী লীগ বিদ্রেহী প্রার্থী গোলাম সরোয়ার প্রধান বিপ্লব (নারিকেল গাছ), স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ইসলাম (জগ), মজিবর রহমান (লাঙ্গল) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আমিনুল ইসলাম দুদু (কম্পিউটার)। অপরদিকে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ৮৮ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ২২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উল্লেখ্য, ২৪টি গ্রামের ৯টি ওয়ার্ডের বিপরীতে ১৬টি ভোট কেন্দ্র। মোট ভোটার ৩১ হাজার ৬শ ২ জন। এরমধ্যে নারী ভোটার ১৬ হাজার ২শ ৬৮ জন, পুরুষ ১৫ হাজার ৩শ ৩৪ জন। আগামী ১০ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।