রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে বনবিভাগ ‘সোলার ফেঞ্চিং’ প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
সোমবার(৭ডিসেম্বর) সকালে কাপ্তাই এফডিটিসি ছাত্র রেস্ট হাউজ চত্তরে পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের আয়োজনে ‘হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনসহ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ’ শীর্ষক জনসচেতনতামূলক সভায় এসব তথ্য জানান কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা এস এম মাহাবুব উল আলম।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কাপ্তাই বন উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালক মো. বখতিয়ার নূর সিদ্দিকী।
বিশেষ অতিথির হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কাপ্তাই পাম্প উড বাগান বিভাগীয় কর্মকর্তা(ডিএফও) মো. আবুল কালাম, পার্বত্য চট্রগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগয় কর্মকর্তা(ডিএফও) রফিকুজ্জামান শাহ্, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সহকারী বন সংরক্ষক কাপ্তাই মোস্তাফিজুর রহমান।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, কাপ্তাই সহকারী ভূমি কমিশন মাঈনুল হাসান চৌধুরী, কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ, সিএমসি সভাপতি কাজী মাকসুদুর রহমান বাবুল প্রমূখ।
ব্যাপকহারে বনাঞ্চল উজাড় হওয়ায় খাদ্যের খোঁজে লোকালয়ে আসা বন্যহাতির আক্রমণে গত ৩বছরে কাপ্তাইয়ে অন্তত ১৫জনের মৃত্যু হয়েছে।
বন বিভাগের উদ্যোগে পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে পশুখাদ্য প্রকল্পে বন্যপ্রাণীর পছন্দনীয় খাবার হিসেবে বৃক্ষরোপনে মৃত্যুহার কিছুটা কমেছে।
কিন্তু লোকালয়ে বন্যহাতির পাল আসা বন্ধ না হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
নতুন করে কাপ্তাইয়ের ৮কিলোমিটার সড়ক জুড়ে বন্যপ্রাণীর যাতায়াত ঠেকাতে ৬০লাখ টাকা ব্যয়ে সোলার ফেঞ্চিং প্রকল্প গ্রহণ করেছে বন বিভাগ।
ডিসেম্বরেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে শুরু করা হবে এ প্রকল্পের কাজ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়ক এবং কাপ্তাই-রাঙ্গামাটি সড়কে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবে যাত্রীরা। বন্য হাতির আক্রমণের আশঙ্কা থাকবেনা।
ফলে কাপ্তাইয়ে আরও পর্যটক আগমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে সংশ্লিষ্টরা প্রত্যাশা করেন।