রাকিবুল হাসান,, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার চরাঞ্চলে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে হলুদ রঙ্গে ছেয়ে গেছে মাঠ। সরিষার হলুদ রংঙ্গের ফুলে ভরে উঠেছে কৃষকের ফসলের মাঠ। চরাঞ্চলের মাঠে সরিষার ফুল আর ফুলে ভড়ে গেছে কৃষকের মন ।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বল্লভের খাস, বামানডাঙ্গা, নেওয়াশী, কচাকাটা, নারায়নপুর, হাসনাবাদ, ভিতরবন্দ কৃষকের মাঠে মাঠে সরিষা ফুলের হলুদ রঙ্গের সমারোহ। প্রকৃতির নির্মল বাতাসে সরিষা ফুলের ঘ্রানে মৌমাছিরা মধু সংগ্রহে ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছে। ফুলে ফুলে মৌমাছি আর গুন গুন শব্দে গেয়ে যাচ্ছে গান। সরিষার ফসলি জমির পাশ দিয়ে হেটে যেতে মনমুগ্ধ পরিবেশে কেরে নিচ্ছে মানুষের মন আর হৃদয় ছোয়া ঘ্রান।
বিভিন্ন স্থানের কৃষকের সাথে কথা বললে, তারা জানান, বন্যায় জমিতে ধান করতে না পারায় জমিতে আগাম নানা জাতের সরিষা চাষ করেছি যাতে গেছে মৌসুমের ক্ষতি কিছুটা পুসিয়ে নিতে পারা যায়।
এ ফসলটি স্বল্প মেয়াদী খরচ কম হওয়ায় কৃষকের আগ্রহ বেশি। জমিতে বীজ রোপনের প্রায় ৩ মাসের মধ্যেই ঘরে ফসল তোলা যায়। যে পরিমান রাসায়নিক সার গ্রয়োগ করা হয় তাতে বোরো মৌসুমে ধানের চাষে সার কম লাগে।
এ ছাড়াও সরিষার পাতা ঝরে পড়ায় জমিতে সবুজ সারের চাহিদাও মেটানো যায়। কাজেই কৃষকেরা অল্প খরচে বেশি লাভের আশায় সরিষা চাষে আগ্রহী থাকে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজেন্দ্রনাথ জানান, নাগেশ্বরী কচাকাটার চরাঞ্চলে সরিষা চাষের উপযোগী জায়গা, এবারে উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে লক্ষ মাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে সরিষার ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।