ঘরনেই-বাড়ী নেই, সরকারী সহায়তায় আশ্রয়নে বসবাস, পরিবারে ১ ছেলে সন্তান, স্বামী দিন মজুরের কাজ করে ভাল কাটে তাদের সংসার। সেই সংসারে লাথি মেরে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছেন বদ স্বভাবের ওই স্ত্রী, ইতিপূর্বেও ২ বার বাড়ী থেকে টাকা পয়সা নিয়ে হয়েছিলেন উধাও। দেড় দুই মাস পর বাড়ী এসে স্বামীকে বলে আমি টাকা উপার্জন করতে গেছিলাম। আবারও কিছুদিন কাজ করে স্বামী টাকা জমালে ৩য় বারের মত নগদ টাকা ও বাড়ী গবাদি পশু নিয়ে উধাও হয়েছে জাকিয়া সুলতানা নামের ওই স্ত্রী।
এমন ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারেনি ভুক্তভোগী অসহায় স্বামী ছাইফুল ইসলাম। এমনই নিদারুন ঘটনাটি উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নের বৈদ্যবাটি গুচ্ছগ্রামে।তথ্য অনুসন্ধানে ও ভুক্তভোগী স্বামীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর পূর্বে ভূমিহীন মো. মনতাজ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম একই উপজেলার আড়ানগর গ্রামের আতোয়ার হোসেনের মেয়ে জাকিয়া সুলতানাকে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করেন। সংসার জীবনে ১ পুত্র সন্তানও রয়েছে তাদের। কিন্তু বদ স্বভাবের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা প্রায়শ স্বামী-সন্তান ছেড়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান। ১ মাস পর ফিরে এসে আবারও স্বামীর সাথে সংসার করে স্বামীর জমানো টাকা নিয়ে পালিয়ে যান, কঠিন মনের গৃহবধু জাকিয়া সুলতানা মাঝ পথে সন্তানকে ফেলে দিয়ে চলে যান ঢাকা শহরে। ৮ বছরের অবুঝ শিশু কেঁদে কেঁদে বাঁবার কাছে ভাগ্যক্রমে ফিরে আসে। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারী স্বামী ছাইফুল ইসলাম সংসারের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে আসলে স্বামীর অনুপস্থিতিতে বাড়ীতে থাকা ১৪ হাজার টাকা ও ১টি খাসিসহ ১ ভরি স্বর্ণ নিয়ে বাড়ী থেকে পালিয়ে যান গৃহবধু জাকিয়া সুলতানা, রেখে যান একমাত্র ছেলেকেও।
এ বিষয়ে স্বামী ছাইফুল ইসলাম বলেন, আমার স্ত্রী একজন দুঃচরিত্র নারী, সন্তানের কথা ভেবে তাকে একাধিক বার ক্ষমা করে দিয়েছি সংসার করবো জন্য, কিন্তু গত ১৪ ফেব্রুয়ারী সন্তানসহ আমাকে ও আমার সংসারকে লাথি মেরে বাড়ী থেকে উধাও হয়েছে, ইতিপূর্বেও কয়েকবার চলে গেছিল, আমি এ বিষয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারী ধামইরহাট থানায় একটি জি.ডি দায়ের করেছি, জি.ডি নম্বর-৬৩৪।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েশ বাদল বলেন, ‘বিষয়টি আমি অবগত আছি, গুচ্ছগ্রামের লোকজনের নিকট তথ্য নিয়ে যতটুকু জেনেছি, পলাতক গৃহবধু’র সঙ্গে গুচ্ছগ্রামের জনৈক বিবাহিত যুবকের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে, পক্ষান্তরে স্বামী ছাইফুল সহজ, সরল হওয়ায় তার টাকা পয়সা আত্নসাৎ করার জন্য এই রকম ঘটনাগুলো বর্তমানে ঘটে যাচ্ছে।’