কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের টোংরাদহ নামকস্থানে করতোয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে ১৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফলে অত্র ইউপির কিশোরগাড়ী, তেকানী, চকবালা, কাশিয়াবাড়ী, পশ্চিম মির্জাপুর, প্রজাপাড়া, সগুনা, কেশবপুর, পশ্চিম রামচন্দ্রপুর, হাসানখোর, সুলতানপুর বাড়াইপাড়া, মুংলিশপুর ও জাইতরসহ বিস্তির্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
২৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সরেজমিন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বাঁধ ভেঙ্গে বন্যার পানি প্রবেশ করার কারণে অনেক পরিবার দূর্বিসহ জীবন-যাপন করছে। দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের সংকট। শ্রমজীবি মানুষের হাতে কাজ না থাকায় অনেকেই অনাহারে দিনানিপাত করছেন। ভেষে গেছে অসংখ্য পুকুরের মাছ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সদ্য রোপণকৃত আমন ধান, রবিশস্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রাস্তা-ঘাট সমূহ। এলাকাবাসী আরও জানান, আমরা শত চেস্টা করেও বাঁধের ভাঙ্গন ঠেকাতে পারিনি। দীর্ঘদিন থেকে উক্ত স্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ধীরগতিতে বাঁধের নির্মাণ কাজ করার কারণে এ বন্যার শিকার হয়েছি আমরা। ত্রান চাই না, দ্রুত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংস্কারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় এমপিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
বাঁধ ভাঙ্গার খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান, উপজেলা চেয়ারম্যান মোকছেদ চৌধুরী বিদুৎ, ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রিন্টু, ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম দূর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন থেকে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে ত্রাণসমগ্রী বিতরণ করা হয়নি।
তবে মঙ্গলবার বিকেলে বন্যা দূর্গত এলাকা পরিদর্শনকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান নয়ন দূর্গতদের উদ্দেশ্যে বলেন, যতদ্রুত সম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী ও কৃষি পুর্ণবাসনসহ রাস্তাঘাট উন্নয়নের ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।